বর্ণনা : আশফি মূল্যবান প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদানের সমন্বয়ে প্রস্তুত বহুমূখী গুণসম্পন্ন ইউনানী ঔষধ, যা শরীরের সবগুলো তন্ত্রকে পরিষ্কার করে। আশফি রক্ত বিশুদ্ধের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে রক্তকে পরিষ্কার করে এবং রক্ত হতে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সহায়তা করে। ইহা মূত্র ও ঘাম নিঃসরণ বৃদ্ধি করে এবং পৌষ্টিক তন্ত্রের উপর প্রভাব সৃষ্টির মাধ্যমে অন্ত্রের স্বাভাবিক গতি বা ছন্দ ফিরিয়ে আনে। আশফি ডায়াবেটিস্, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, রক্তে কোলেষ্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন জীবাণু ঘটিত সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। রক্তে বিষাক্ত পদার্থ বিদ্যমান থাকার কারনে ব্রন, বিবর্ণতা, ফুসকুড়ি, ফোড়া, খোস্-পাচড়াসহ বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ দেখা দেয়, আশফি উক্ত চর্মরোগ দূর করে। আশফি ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জল ও মসৃণ করবে এবং দেহের বাড়তি ওজন কমিয়ে শরীরকে স্লীম ও স্মার্ট করে তুলবে। আশফি দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও শারীরবৃত্তিয় কার্যক্রম সুসংহত রাখে এবং কোষস্থ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও ঋতু পরিবর্তনকালীন বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
উপাদানসমূহ :
প্রতি ৫ মি.লি.সিরাপ-এ আছে :
(জলীয় নির্যাস আকারে)
সোনাপাতা—১৭.০০মি.গ্রা.,
রেউচিনি—১৩.০০মি.গ্রা.,
কালকাসুন্দে—১২.৫০মি.গ্রা.,
তুলসী—২.৫০মি.গ্রা.,
তেউরীমূল—২.০০মি.গ্রা.,
গোলাপ ফুল—২.০০মি.গ্রা.,
গুলে মূন্ডী—২.০০মি.গ্রা.,
নীলকন্ঠি—২.০০মি.গ্রা.,
ক্ষেতপাপড়া—২.০০মি.গ্রা.,
অপরাজিতা—২.০০মি.গ্রা.,
নাগদনা—২.০০মি.গ্রা.,
শাপলা ফুল—১.২৫মি.গ্রা.,
শিশুকাষ্ঠ—১.২৫মি.গ্রা.,
রক্ত চন্দন—১.২৫মি.গ্রা.,
গুলঞ্চ—১.২৫মি.গ্রা.,
হরিতকি—১.২৫মি.গ্রা.,
একাঙ্গী—১.২৫মি.গ্রা.,
চিরতা—১.২৫মি.গ্রা.,
কালমেঘ—১.২৫মি.গ্রা.,
রক্ত কাঞ্চন—১.২৫মি.গ্রা.,
নিম—১.২৫মি.গ্রা.,
হলুদ—১.২৫মি.গ্রা.,
অন্যান্য উপাদান পরিমানমত।
সূত্র : (শরবত মুছাফফী)
বাংলাদেশ জাতীয় ইউনানী ফর্মুলারী।
কার্যকারিতা :
⇒ বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ
⇒ এ্যালার্জি
⇒ চুলকানি
⇒ কোষ্ঠকাঠিন্য
⇒ ব্রণ-ফুসকুড়ি
⇒ ত্বকের লাবন্য বৃদ্ধি
⇒ কোলেষ্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
⇒ উচ্চরক্তচাপ
⇒ নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ
⇒ হাম ও প্রদাহ
⇒ রক্তস্বল্পতা
⇒ মুখ ও গায়ের দুর্গন্ধ
⇒ রোগ জীবাণুর সংক্রমণ
⇒ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
⇒ প্রসাবের জ্বালাপোড়া
⇒ ওজন কমিয়ে দেহ রাখে স্লিম ও স্মার্ট
প্রতিনির্দেশ :
কোন প্রতিনির্দেশ নেই।
সেবনবিধি :
প্রাপ্ত বয়স্ক : ২-৪ চা চামচ ২-৩ বার আহারের পর সেব্য।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক : ১-২ চা চামচ ২-৩ বার আহারের পর অথবা রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
সর্তকতা :
শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া :
নির্ধারিত মাত্রায় সেবনে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় নাই।
সংরক্ষণ :
আলো থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
পরিবেশনা :
Reviews
There are no reviews yet.